বাংলাদেশের অনুরোধ: কেন চিঠি পাঠানো হলো?
সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (International Criminal Tribunal) দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশকর্তা আসাদুজ্জামান খানকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে।
ঢাকায় গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা যায়। এই পরিস্থিতিতে, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় ঢাকা।
উল্লেখ্য, এটি প্রথমবার নয়। এর আগেও, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ একই ইস্যুতে ভারতকে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছিল।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের জবাব কী?
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর, ২০২৫) এই বিষয়ে প্রথমবার মুখ খোলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান:
“হ্যাঁ, আমাদের কাছে একটি অনুরোধ এসেছে। আর এই অনুরোধটি বিচারবিভাগীয় এবং আভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পুরোটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
মুখপাত্র একই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রসঙ্গে স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ভারত সবসময়ই “বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে শান্তি, গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তি।”
কূটনৈতিক পরিস্থিতি
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সরাসরি ‘না’ বা ‘হ্যাঁ’ না বলে বিষয়টিকে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনার কথা বলায়, এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে একটি কূটনৈতিক জট তৈরি হয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়া এবং বিচারবিভাগ এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, এখন সেদিকেই নজর আন্তর্জাতিক মহলের।
ট্যাগ: #SheikhHasina #IndiaBangladesh #MEA #ForeignAffairs #Diplomacy #BangladeshNews





