Goyenda Galpo Samagra bengali detective story book pdf free download

Goyenda Galpo Samagra bengali detective story book pdf

গোয়েদা শব্দের অর্থ গুপ্ত । এই গুপতচরবৃত্তি নিয়ে অসংখ্য গল্প, উপন্যাস ও নাটক সৃষ্টি
হয়েছে। এই গোয়েদা গল্প ও উপন্যাস শিশুদের খুব প্রিয়। বিশ্বের সেরা সেরা সাহিত্যিক
এই গোয়েন্দধমী সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন। বাংলা সাহিত্যেও অনেক নামকরা সাহিত্যিকেরা
এই গোয়েন্দাধমী সাহিত্য সৃষ্টি করে পাঠকদের মাঝে অমর হয়ে আছেন।

এক সময় সাহিত্য জগতে গোয়েন্দা গল্পকাহিনীর স্থান ছিল না বললেই চলে। কিনতু
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল সাহিত্য জগতে এসে গোয়েন্দা গল্পকাহিনী লেখালেখির ফলে
গোয়েন্দা গল্প-উপন্যাসের কদর বেড়ে যায়।

ভূত নিয়ে লেখা সাহিত্যে শিশু-কিশোরদের যেমন কৌতুহল থাকে, গোয়েদাধ্মী
সাহিত্য নিয়েও ঠিক একই রকমের উৎসাহ ও আগ্রহ থাকে। একটি গোয়েন্দা বই যদি কোন
শিশু-কিশোরদের হাতে পড়ে তা হলে সে বইটি শেষ না করে সে ঘুমাবে না। শুধু ঘুম নয়,
গোয়েদা বই হাতে পড়লে তাদের নাওয়া খাওয়া, খেলাধূলা এমন কি খাওয়া পর্যন্ত হারাম
হয়ে যায়। বইটি পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার কোন অবকাশ অথবা বিশ্রাম নেবারও
সুযোগ থাকে না।

খুন, চুরি-ডাকাতি কিংবা ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত এই গোয়েদা গল্প,
উপন্যাস, কিংবা নাটক রচিত হয়ে থাকে । এর কেন্দ্রিয় চরিত্র সমূহ শিশু-কিশোর অথবা
যুবক অথবা বৃদ্ধ বয়সের লোকও হতে পারে। গোয়েদা উপন্যাস বা গল্প কিছুটা ভূতের
গল্পের মতই রোমাঞ্তকর। গোয়েন্দা গল্পের মূল উদ্দশ্য হচ্ছে পাঠক হৃদয়ে ভীতি ও কৌতৃহল
সঞ্চার করা। লেখক এতে বাস্তব থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে মনের ভ্ঙ্কর মাধুরী মিশিয়ে এক
অপূর্ব চিত্রপ্রকল্প তৈরি করেন যা বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের এমন কি সাবালকত্‌ প্রাপ্তদের
মধ্যেও এমন গল্প শোনার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এর একমাত্র কারণ এ বয়সের
ছেলেমেয়েরা অজানাকে জানতে এবং অজানিতের সন্ধান করতে ভালবাসেন। গোয়েন্দা
গল্পের ক্ষেত্রে তাদের বিচারবোধ, বুদ্ধি, বিবেক ইত্যাদি সব কিছু থেকেও যা অধিক কার্যকরী
এ হচ্ছে কল্পনা শক্তির বিকাশ । গোয়েন্দা গল্পের সব থেকে বড় সহায়ক বাস্তবতার নিরিক্ষে
কল্পনার রূপায়ন। আমরা জানি পৃথিবীতে দু রকম মানুষ রয়েছে। এর একটি ভাল মানুষ,
অপরটি খারাপ মানুষ ভাল মানুষেরা সৎভাবে জীবনযাপন করে, পারলে ভাল কাজ করে,
অর্থাৎ মহৎ কাজের মাধ্যমে মানুষের উপকার করে । আর খারাপ মানুষ খারাপ কাজ করে।
তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিংসুতা, মিথ্যা বলা, মিথ্যার আশ্রয় নেয়া, অন্যের সম্পদ চুরি করে
ভাকাতি করে নেয়া এবং প্রয়োজনে খুন করা । এই কাজগুলো তারা এমন ভাবে বা কৌশলে
করে যাতে তাদের আইনের কাছে এবং প্রশাসনের কাছে ধরা পড়তে না হয়। হিংস্র
কাজগুলো শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ার যত আলামত তা তারা ধ্বংস করে পালিয়ে
খায়। শুধু পালিয়ে যায় না, ধর্মের আবরণে ভাল মানুষ সেজে সমাজে মাথা উঁচু করে চলে।
সৃষ্টিকর্তা ও সমাজের ধর্মগুরুদের সন্তষ্ট করার জন্য, মসজিদ মন্দিরে অর্থ সাহায্য করতেও

কার্পণা করে না। এই রঙচোরা ধূর্ত ও হিত্্র অপরাধী গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে চিহ্নিত
করা এবং গ্রেফতার করাই হচ্ছে গোয়েন্দাদের কাজ, আর এই কাজের শৈল্পিক বর্ণনাকেই
বলা হয় গোয়েন্দা গল্প-উপন্যাস বা সাহিত্য । যে কোনো বিষয়ের বাস্তব বর্ণনাকে প্রতিবেদন
বলা যেতে পারে তাকে সাহিত্য বলা যাবে না বা সেটা সাহিত্যও নয়। সাহিত্য হতে হলে
তাকে সর্বপ্রকার সাহিত্যরসে ভরে তুলতে হবে। যেমন ভূতের গল্প, ভূতের গল্পের ক্ষেত্রে
মানুষের বিচারবোধ, বুদ্ধি, সব কিছু থেকেও যা অধিক কার্যকরী তা হচ্ছে কল্পনাশক্তি।
ভূতের গল্পের মত গোয়েন্দা গল্পের সব থেকে বড় সহায়ক কল্পনপ্রবণন মানব মন। তাইতো
গোয়েন্দাগ্প ও ভূতের গল্প শুনতে মানব শিশুর অধিক আগ্রহ, তার কারণ এই বয়সে তারা
সবচেয়ে বেশি কল্পনাপ্রবণ।

পৃথিবীর আদিকাল থেকে কিছু টরিব্রহীন,লোডী ও হিধ্র মানুষ লোক চোক্ষুর অন্তরাল
থেকে তাদের হিধ্র কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। সভ্যতার উষালগ্ন থেকে তাদের চিহ্নিত
করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোও হচ্ছে, মূলত এখান থেকেই সাহিত্যকবৃন্দ উক্ত
বিষয়গুলোকে উপজীব্য করে সাহিত্য সৃষ্টি করে আবাল বৃদ্ধ বর্ণিতার মনোযোগ সৃষ্টি করতে
সমর্থ হয়েছেন।

সর্বযুগে এবং সর্বকালের ভৌতিক ভীতি তথা ভূতপ্রেত, দৈত্য-দানব ও হিংস্র চোর-
ডাকাত, চিনতাইকারী-খুনিরা মানুষের মনকে যেমন উদ্দীপ্ত করেছে একই সঙ্গে উত্তেজিতও
করেছে। মানুষ যেমন এসব থেকে ভয় পায়, রাত্রে ঘর থেকে বের হতে চায় না, কোন কিছুর
ছায়া দেখলে ভূত কিংবা চোরের ভয়ে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ঠিক একই ভাবে
তাদের গল্প শুনতেও প্রচণ্ড ভালবাসে। ভাবতেও অবাক লাগে এই বিংশ শতকের
আলোকোজ্জ্বল নাগরিক জীবনে এই শিক্ষিত সভ্য মানুষই এ ভূতের গল্প কিংবা চোর-
ডাকাতদের নিয়ে লেখা গোয়েন্দা গল্পের পুস্তক বেশি বেশি ক্রয় করে। এর কারণ পৃথিবীর
এই হিংপ্র লোভী ও চরিত্রহীন মানুষগুলোর কার্যকলাপ এবং তাদের খুঁজে বের করার সাহসী
(কৌশল ও পদক্ষেপ তাদের অনুপ্রাণিত করে। এ রকম একটি ুন্তক পাঠ করে রানে বাইরে
বের হতে চায় না অথচ পরের দিন আর একটি বই সংগ্রহ করে আনে। এর কারণ হতে
পারে এ দুরাচার মানুষদের হাত থেকে আত্মরক্ষার কৌশল আয়তু করা, একই সঙ্গে বড় হয়ে
গোয়েন্দা পেশা অবলম্বন করে এই অপরাধীদের ধরার অভিজ্ঞতা অর্জন করা। একটি কথা
ঠিক যে মুখে মুখে বলা হয়, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীবন কিন্তু সর্বাংশে কথাটি সঠিক নয়।
বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লক্ষ্য করা যায় সব মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব নয়, কিছু কিছু মানুষ
হিংস্র জানোয়ার থেকেও নিকৃষ্ট । মানুষের মূল্যায়ন নিয়ে এই যে ভুল ধারণা এটি প্রমাণ করে
এ গোয়েন্দা সাহিত্য । এ বিষয়টিও গোয়েন্দা সাহিত্যের জনপ্রিয়তার সুপ্ত কারণ হতে পারে ।

বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা উপন্যাস যতটা লেখা হয়েছে বা জনপ্রিয়তা পেয়েছে গোয়েন্দা
গাল্প ততটা নয় । আবার ভূতের গল্প যতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভূতের উপন্যাস ততটা নয়।
ছোট গল্পের ছোট পরিসরে যে গল্প ভয়মিশ্রিত ভৌতিক অনুভূতির শিহরণ জাগাতে সক্ষম
হয়, গোয়েন্দা বিষয়টি এমন ছোট পরিসরে নির্মাণ করা সম্ভব নয়। গোয়েন্দার বিষয়টিই
দীর্ঘতর তাই এর অবয়ব সংক্ষিপ্ত করা সম্ভব নয়। তাই গোয়েন্দা বলতেই একটু দীর্ঘতর,
যাকে গল্প না বলে উপন্যাস বলাই যুক্তযুক্ত। তবে গল্পও রচিত হয়েছে অনেক ।

পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে চুরি-ডাকাতি এবং খুন-খারাপি নিয়েই মূলত গোয়েন্দা
গল্প বা উপন্যাস লেখা হয়। গোয়েন্দাগিরির কাজটি যিনি করেন কখনো কখনো জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে কাজটি করতে হয়। বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য একটি গোয়েন্দা উপন্যাস থেকে
সামানাটুক উদ্ধৃতি তুলে ধরা হলো। “হীরক চুরির কেসটি নিয়ে কদিন ধরে ভীষণ ব্যন্ত ছিল
সাঙজেন্ট আজগর । ভোরে নাস্তার টেবিলে মায়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিল তার। কোন জটিল কেস
‘নিয়ে আজগর যখন ব্যন্ত হয়ে ওঠে তখন ছেলের জন্য খুব চিন্তা হয় মায়ের। কখনো কখনো
ভীষণ বিপদে পড়ে যায় আজগর । এমন কি বিপদ যে শক্রুর রোসের মুখে মৃত্যুর মুখোমুখিও
দাড়াতে হয় আজগরকে । আমেরিকায় এক চোরা-চালানী গোষ্ঠীর আস্তানা নির্দেশ করতে
গিয়ে তাদের হাতে সাতদিন অবরুদ্ধ ছিল সে। এ মুহূর্তে মার্কিন গোয়েন্দারাও এই ভেবে
শংকা প্রকাশ করেছিল যে, মিঃ আজগর বেঁচে নেই, এমন কি তার লাশও আর পাওয়া যাবে
না। সেবার এক নাগারে সাতদিন দানাপানি বন্ধ ছিল মায়ের প্রতিজ্ঞা করেছিল ছেলেকে
আর কখনো গোয়েন্দাগিরি করতে দেবে না। একটি মাত্র ছেলেই, ছেলেটির কিছু হলে
(জীবনটাই বৃথা হয়ে যাবে মায়ের। কিন্তু সে ইচ্ছা পূর্ণ হয়নি মায়ের। গোয়েন্দাগিরিতে যত
ভয়াবহ বিপদই আসুক না কেন আজগর তা করবেই করবে। তার কথা হচ্ছে
গোয়েন্দাগিরিতে বিপদ যত ভয়াবহ, মজা তত বেশি।”

গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে অনেক সময় ছন্দবেশ ধারণ করে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে
হয়। গোপন সংবাদ সংখহের জন্যও তাদের কাছে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়। এমন
একটি উদাহরণ একটি গোয়েন্দা উপন্যাস থেকে দেয়া হয়__

“তুই প্রতিদিন বিকেলে কিছু না কিছু কেনার জন্য দাসরা বাজারে যাবি।

আচ্ছা গেলাম।

বাজারের উত্তর পাশে জমিদার বাড়ির পুকুর পারে ডাকঘরের সামনে দেখবি একজন
নতুন ভিক্ষুক।

নতুন ভিক্ষুক!

হ্যা, নতুন ভিক্ষুক। তুই তাকে পঞ্চাশ পয়সা ভিক্ষা দিবি।

আচ্ছা দিলাম ।

পঞ্চাশ পয়সা ভিক্ষা পেয়ে সে বলবে “আল্লাহ তার দান করুল কর।’ এই কথাটি বলার
অঙ্গে সঙ্গে তুই বলবি “আল্লাহ করুল’ । তখন সে তোকে কিছু খবর দিবে । খবর যদি জরুরী
হয় তা হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবি। আর নরমাল হলে সদ্ধ্যায় জানাবি।

জরুরী খবর হলে আপাকে পাব কোথায়?

সময় হলে সব বলে দিব।

এটাতো সহজ কাজ। Download : All IELTS books are in PDF format. IELTS Books PDF Download

আরো আছে, যদি ভালমত কাজটি করতে পারিস তা হলে তোকে একজন শক্ত
গোয়েন্দা বানিয়ে ছাড়ব।”

গোয়েন্দা উপন্যাসে অনেক সময় গৃহপালিত জন্তু ব্যবহৃত হয়ে থাকে “দুঃসাহসী
গোয়েন্দা’ উপন্যাসে এমন একটি প্রাণীর চিত্র“ ঠিক এমন একটি সময়ে সাজেন্টি
আজগর তার পুনা’কে নিয়ে সময় কাটাচ্ছিল। এ কুকুরটির নাম হচ্ছে পুনা। পুনা দেশিয়

কুকুর, তবে আকৃতিতে ছোট । গায়ের রং লাল, পায়ের দিকে সাদা, ঠিক মোজার মত দাগ
রয়েছে, কান দুটি হরিণের কানের মত খাড়া। চোখ দুটোও হরিণের মত কাজল টানা।
মুহূর্তের জন্যও স্থির থাকা তার কাজ নয় । মোটকথা পুনা ভিষণ চঞ্চল ও খেলুরে।” এই যে
“পুনা” নামের কুকুরটি, একে অবসর সময় প্রশিক্ষণ দেয় উপন্যাসের নায়ক সার্জেন্ট
আজগর ।

গোয়েন্দা উপন্যাসে কিছু কিছু উদ্ভট চেহারার চরিত্র থাকে। “দুঃসাহসী গোয়েন্দা”
উপন্যাসে বর্ণিত এমন একটি চরিক্রের চিত্র-_“লোকটির চুল উসকো খুসকো । মনে হয় এক
নাগারে বার বছর তেল পড়েনি সে চুলে । সাবান লাগানো হয়নি এক যুগ, ফলে ময়লা যুক্ত
চুলগুলো সজারুর কাটার মত ছড়িয়ে আছে চতুর্দিকে । সবচেয়ে অদ্ভুত লোকটির দাতের
গড়ন। তার দীতগুলো এতই বহিমুখী যে তা দেখে বুঝাই যাচ্ছে না সে হাসছে না কাদছে।”
লোকটির নাম হাতেম ডাকাত। লোকটি ডাকাতি করে ঠিকই কিনতু জমিদার বাড়ির হীরকটি
যে চুরি করেছে সে এ হাতেম নয় । অথচ তার বিরুদ্ধে আদালতে চুরির মামলা হয়েছে।

গোয়েন্দা উপন্যাসের কাহিনী এমনই হয়। মূল যে অপরাধী সে ভদ্র সেজে সাধু বেশে
থাকে, তাকে কেউ সন্দেহও করে না, অপরদিকে যে কাজটি করেনি তাকে সবাই সন্দেহ করে
বসে থাকে। উপন্যাসের নায়কের কাজ শত-সহস্র চেষ্টা করে মূল অপরাদীকে খুঁজে বের
করা।

গোয়েন্দা গল্প কিংবা উপন্যাস সম্পর্কে আলোচনা করে দেখা গেল বিষয়টি সামাজিক
জীবনের একটি জটিল ও কঠিন চিত্র। আধুনিক সমালোচকদের দৃষ্টিতে গোয়েন্দা সাহিত্য
সমাজের হিংস্র ও ধূর্ত অপরাধীদের সৃষ্ষ্রবিচক্ষণতার মধ্য দিয়ে চিহ্নিত করা এবং বিচারের
কাঠগড়ায় দীড় করানো। সমাজে যেহেতু অহরহ এই অপরাধমূলক ঘটনাসমূহ ঘটছে তাই
মানুষের মনে ভয় ও শঙ্কা থাকাই স্বাভাবিক। এমন বিপদ থেকে বিভিন্ন দেশে সরকারি
গোয়েন্দা বিভাগ, অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করে থাকে। অপরাধী যত
চতুরই হোক তারা একদিন না একদিন ধরা খেয়েই যায়। তারা তাদের বিবেক, বুদ্ধি ও
মেধাকে কাজে লাগিয়ে অসাধ্যকে সাধন করে ফেলে। পৃথিবীতে যেমন প্রতিনিয়ত অপরাধ
ঘটছে ঠিক একই ভাবে মেধা ও কৌশল খাটিয়ে অপরাধীদের ধরে আইনের কাঠগড়ায় দাড়
করানো হচ্ছে এবং যথাযথ শাস্তি ভোগ করানো হচ্ছে।

গোয়েন্দা সাহিত্য মূলত এই অপরাধ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করার প্রেক্ষাপটে
রচিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষা-ভাষি সাহিত্যিকবৃন্দ এই গোয়েন্দা
গল্প কিংবা উপন্যাস রচনা করে অমর হয়ে আছেন। এর মধ্যে শার্লক হোমসের নাম গর্বের
সঙ্গে উচ্চারণ করা যায়।

বাঙালি গোয়েন্দাধমী পাঠকেরা যাতে খুব সহজে দেশি-বিদেশি লেখকদের গোয়েন্দা
গল্পসমূহ এক সঙ্গে পেতে পারেন সে জনা ‘সালাউদ্দিন বইঘর’ ছাব্বিশজন লেখকের
বৈচিত্ধর্মী গল্প নিয়ে সম্পাদন করল “দেশি-বিদেশি ২৬ জন লেখকদের গোয়েনদাগ্প’। গস্থটি
পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে শেষ করছি।

সাদিকুর রহমান সোহাগ

File format- PDF
PDF Size- 36mb
Pages- 650


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − eighteen =