ছয় বছর আগে ‘দে দে পেয়ার দে’ ছবিতে প্রজন্ম-পার্থক্যের প্রেমকে কিউট প্রমাণ করার পর, এবার আরও বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফিরেছে এই জুটি—প্রেমিকার বাবা-মাকে রাজি করানো। অজয় দেবগন (Ajay Devgn) এবং রাকূল প্রীত সিং (Rakul Preet Singh) অভিনীত ‘দে দে পেয়ার দে ২’-এর এই সিক্যুয়েল কি মূল ছবির আকর্ষণ ধরে রাখতে পারল? এই ফিল্ম রিভিউতে রইল তার বিশ্লেষণ।
গল্পের নতুন মোড় এবং মূল চ্যালেঞ্জ
- পটভূমি: লন্ডন থেকে চণ্ডীগড়ে ফিরে এসেছে আয়েশা (রাকূল প্রীত সিং)। তার হাতেই গল্পের বোমা ফাটানোর দায়িত্ব—৫১ বছর বয়সী প্রেমিকের সঙ্গে তার সম্পর্ক।
- পরিবারের প্রতিক্রিয়া: আয়শার বাবা-মা (অভিনয়ে আর. মাধবন এবং গৌতমী কাপুর) প্রথমদিকে প্রগতিশীল হলেও, যখন তাঁরা জানতে পারেন যে তাঁদের হবু জামাই তাঁদের চেয়ে মাত্র দুই বছরের ছোট, তখন তাঁদের আধুনিকতার মুখোশ খুলে যায়।
- সংঘাত: এরপর শুরু হয় বাবা-মেয়ের মধ্যে এক মজাদার অথচ আবেগঘন কমেডি-সংঘাত। মেয়ে তার বয়স্ক প্রেমিককে বিয়ে করতে বদ্ধপরিকর, আর বাবা-মা ভারতীয় সমাজের সেই চিরাচরিত প্রশ্নটি তোলেন।
🌟 পারফরম্যান্সের চমক: কে ছিনিয়ে নিলেন স্পটলাইট?
এই ছবিতে আসল চমকটি দেন অন্য তারকারা।
১. আর. মাধবন ও গৌতমী কাপুর (The Surprise Highlight)
পর্যালোচনা অনুযায়ী, ছবির আসল হাইলাইট এই দুজন। মাধবন এখানে একজন ‘সুপার কুল ড্যাড’-এর ভূমিকায়, যিনি সন্তানের বন্ধু হতে চান।
- বিশেষত্ব: মাধবন মূল অভিনেতার চেয়েও অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স দিয়েছেন। কমেডি থেকে শুরু করে আবেগঘন দৃশ্য, সব কিছুতেই তাঁর অভিনয় ছিল বিশ্বাসযোগ্য এবং হৃদয়স্পর্শী।
- জুটির রসায়ন: গৌতমী কাপুর তাঁর সঙ্গে দারুণ সঙ্গত করেছেন। তাঁদের রসায়ন অজয়-রাকূল জুটির চেয়েও বেশি আকর্ষণীয় এবং বিশ্বাসযোগ্য।
২. জাভেদ জাফরি (The Scene Stealer)
জাভেদ জাফরি একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং কার্যত তিনি প্রতিটি দৃশ্য চুরি করে নিয়েছেন। তাঁর কমেডি টাইমিং, অভিব্যক্তি—সবকিছুই ছিল তুখোড়।
৩. মূল কাস্ট: অজয় ও রাকূল
- অজয় দেবগন: তিনি তাঁর পরিচিত, নির্ভরযোগ্য ‘এজে দেবগন’ ফর্মেই ছিলেন—স্থির, মাঝে মাঝে মজাদার, কিন্তু খুব কমই বিস্ময়কর।
- রাকূল প্রীত সিং: হালকা মেজাজের দৃশ্যগুলিতে রাকূল নজর কেড়েছেন। তবে, আবেগপ্রবণ দৃশ্যগুলিতে তাঁর পারফরম্যান্স পর্যালোচকের মতে কিছুটা কমজোরি ছিল।
কমজোরি কোথায়? কেন ব্যর্থ হলো সিক্যুয়েল?
পর্যালোচকের মতে, এই সিক্যুয়েলটি মূল ছবির মতো জাদু তৈরি করতে পারেনি।
- দুর্বল চিত্রনাট্য: ছবিটি তার আকর্ষণ ধরে রাখার চেষ্টা করেছে ঠিকই, কিন্তু এক পর্যায়ে লেখা দুর্বল হয়ে পড়ে, গল্প পাতলা হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত কমেডি নির্ভরতা: যখন গল্প বা আবেগ কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন শুধুমাত্র কমেডিই টিকে থাকার একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে। কিছু কৌতুক মজার হলেও, ছবিটি সামগ্রিকভাবে মূল ছবির ‘রিকল ভ্যালু’ তৈরি করতে পারেনি।
চূড়ান্ত রায় (Final Verdict)
একবার দেখার মতো ছবি এটি, তবে খুব বেশি প্রত্যাশা না রেখে যাওয়া ভালো। আপনি যদি শুধুই হাসির জন্য, আর. মাধবনের আন্তরিক অভিনয় দেখার জন্য এবং জাভেদ জাফরির অসাধারণ টাইমিং উপভোগ করার জন্য সিনেমাটি দেখতে চান, তবে এটি একবার দেখতে পারেন।
সূত্র: CNN-News18 (পর্যালোচনা: De De Pyaar De 2 Movie Review by Tavishi Paitandy I Ajay Devgn I Rakul Preet Singh I R Madhavan i18V)





